SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

অষ্টম শ্রেণি (দাখিল) - গার্হস্থ্য বিজ্ঞান - শিশুবিকাশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা | NCTB BOOK

পাঠ ১ মাদকাসক্তি

যে কোনো পরিবেশ বা অবস্থা দুটি দিক থেকে বিচার করা হয়। যে অবস্থা আমাদের সুবিধা দেয়, ভালো
করে, কোনো রকম ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না, এটি অনুকূল অবস্থা। যেমন- ভালো বন্ধুর সঙ্গ, শিক্ষকদের
উৎসাহ, প্রশংসা, স্কুলে লেখাপড়া ইত্যাদি। এ অবস্থা আমাদের কাম্য। অন্য দিকে যে অবস্থা আমাদের জন্য
ক্ষতিকর, আমাদের ভালো করে না, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক নয়, সেটাই প্রতিকূল অবস্থা। যেমন- অ
সঙ্গ, বখাটে দলের হয়রানির শিকার, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি। এগুলো আমাদের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা দেয় যা
আমরা কখনোই চাই না।

বর্তমানে মাদকাসক্তি কথাটি এত বেশি প্রচলিত যে, তোমরাও এ সম্বন্ধে ইতোমধ্যেই অনেক কিছু জেনে গেছ।
সারা বিশ্ব আজ মাদকদ্রব্য সেবন সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের দেশেও মাদকাসক্তির ভয়াবহতা দিন
দিন বেড়েই চলেছে। আমরা এখন মাদকদ্রব্য কী, কীভাবে এতে আসক্তি হয়, এর ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী
এবং এর ভয়ংকর পরিণতির কথা জানব।

মাদকদ্রব্য এক ধরনের পদার্থ যা ব্যবহার বা সেবন করলে আমাদের শরীর ও মনের ক্ষতি হয়, ব্যবহারকারীর
মধ্যে নেশা তৈরি করে, পর্যায়ক্রমে গ্রহণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে ঐ দ্রব্য যখন
সেবনের দরকার হয় তখনকার অবস্থাকে বলা হয় আসক্তি। বিড়ি, সিগারেট, তামাকের ধোয়া সেবন হলো
ধূমপান। গাঁজা, আফিম, হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা এগুলো সবই মাদকদ্রব্য। ধূমপান এবং এসব দ্রব্য যখন
ব্যক্তির মধ্যে আসক্তি বা নেশা তৈরি করে তখনকার অবস্থাই হলো মাদকাসক্তি।

কৈশোরকাল কৌতূহলের বয়স। নিছক কৌতূহলের বশেই অনেকে মাদক গ্রহণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে
চায়। অনেক সময় যে কোনো ব্যর্থতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মাদক গ্রহণের অভ্যাস তৈরি হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৈশোরের ছেলে-মেয়েরা খারাপ দলে মেশার ফলে মাদকদ্রব্য সেবনে জড়িত হয়।
মাদকাসক্ত সঙ্গীরা নিজের কাজের সহযোগী খোঁজে। তারা এটি গ্রহণে প্ররোচনা দেয়। এভাবে সঙ্গদোষে
মাদকের বদ অভ্যাস গড়ে উঠে। মাদকদ্রব্য গ্রহণের স্বাস্থ্যগত পরিণাম বা অন্যান্য ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে না
জানার কারণে প্রথম দিকে সেবনকারী সমস্যার ভয়াবহতা বুঝতে পারে না। যখন এর বিপদ বুঝতে পারে
তখন সেবন ছেড়ে দেয়া তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাকে সুস্থ করার জন্য তার নিজের প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির
সাথে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে আস্তে আস্তে সুস্থ ব্যক্তি রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মতো হয়ে যায়। এটি তাকে আস্তে
আস্তে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। মাদকাসক্তি কোনো ব্যক্তিকে, তার পরিবারকে এবং এভাবে সমাজ জীবনকে
নানা দিক দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে। ব্যবহারকারীর শারীরিক অসুস্থতা যেমন- মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ও
ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়। এছাড়া স্বাভাবিক প্রজনন ক্রিয়ার জটিলতা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শিক্ষা
গ্রহণে অক্ষমতা এবং পারিবারিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটায়।

মাদক ব্যবহারকারীরা নানারকমের অসামাজিক কাজ করে। যেমন- চুরি, ছিনতাই, হাইজ্যাক ইত্যাদি। এ
সকল আচরণ বিভিন্নরকম সামাজিক সমস্যা তৈরি করে। ব্যক্তি জীবনে ও সমাজ জীবনে মাদকাসক্তির
ক্ষতিকর দিক-

শারীরিক ক্ষতি

শ্বাসনালি, হৃদযন্ত্রের ক্ষতি, কাজ করার
ক্ষমতা হ্রাস, রক্ত দূষণ, অনিদ্রা, খাবারে
অরুচি, পেট ব্যথা, এইডস, হেপাটাইটিস-বি
সংক্রমণের আশতক।

মানসিক ক্ষতি

শেখার ক্ষমতা হ্রাস, পড়াশোনায় অমনোযোগী,
স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, উদ্যমের অভাব,
অলসতা, অবসাদ ও বিষণ্ণতা, উগ্র আচরণ।

আর্থিক ক্ষতি ও নৈতিক অবক্ষয়

পরিবারকে আর্থিক সংকটে ফেলা, ধার
নেয়া, চুরি করা, ন্যায়-অন্যায় রোগ না
থাকা, মিথ্যা বলা।

মাদকাসক্তি

সামাজিক সমস্যা

কাজ করার আগ্রহ কমে যাওয়া, মায়া-মমতা
ও ভালোবাসার অভাব, সহজে অপরাধ
জগতে প্রবেশ।

মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো কত ভয়াবহ হতে পারে তা আমরা জানলাম। এই ক্ষতির দিকগুলো তোমাদের
বারবার মনে করতে হবে। তোমরা দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে কোনো দিনই মাদকের ছোবলে ধরা দেবে না।
নিজেদের এই প্রতিজ্ঞা ছড়িয়ে দেবে পাড়া, মহল্লায় এবং সমবয়সী বন্ধু দলে।

মানুষের জীবনে কখনো কখনো খারাপ সময় আসতেই পারে। যার কারণে বিষণ্ণতা আসে, আসে হতাশা। এই
হতাশাকে কখনোই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট কখনোই চিরস্থায়ী নয়। মাদককে 'না'
বলার শক্তিই মাদক প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় উপায়।

পাঠ ২- বাল্য বিবাহ, যৌতুক

বাল্য বিবাহ - জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ১৯৯০ এ যে সকল দেশ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ তার মধ্যে
অন্যতম। আমরা জানি যে, এই সনদে জন্ম থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত প্রত্যেককেই শিশু বলা হয়েছে। এই
সনদে উল্লেখ আছে ১৮ বছরের নিচে মেয়েরা এবং ২১ বছরের নিচে ছেলেরা বিয়ে করতে পারবে না।

তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পারছ বাল্যবিবাহ বলতে কী বোঝায়? ছেলের বয়স ২১ বছরের নিচে এবং মেয়ের বয়স
১৮ বছরের নিচে যে বিয়ে হয় তাই বাল্যবিবাহ। শুধুমাত্র ছেলের বয়স ২১-এর কম বা শুধু মেয়ের বয়স
১৮-এর কম হলে সেই বিয়েকেও বাল্য বিবাহ বলা হয়। বাল্যবিবাহে বর বা কনে যে কোনো একজন বা
উভয়ে শিশু থাকে।

বাল্যবিবাহের নীতিটি মানার ক্ষেত্রে মূল বাধাটি হচ্ছে আমাদের দেশে দরিদ্র, অশিক্ষিত পরিবারে অভিভাবকরা
শিশুর সঠিক বয়সের হিসাব রাখেন না এবং সব শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হয় না। আমাদের দেশে আর্থিক ও
সামাজিক নিরাপত্তার জন্য মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া হয়ে থাকে।

ছেলেদের ক্ষেত্রেও অভাব অনটনকেই দায়ী করা যেতে পারে। মেয়ে পক্ষ থেকে অর্থ পাওয়ার আশায় ছেলেদের

বয়সের আগেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ কেন ক্ষতিকর?

১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে হলে সঠিক সময়ের আগে বা কম ওজনের সন্তান জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাপ্ত বয়সের তুলনায় কিশোরীদের সন্তান জন্ম দেওয়া অনেক কঠিন ও বিপজ্জনক। কিশোরীর
গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান জন্মের প্রথম বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বেশি।

১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত কোনো মেয়ের শরীর সন্তান প্রসবের জন্য উপযুক্ত হয় না। তাই এ বয়সে
গর্ভধারণ ডয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- সময়ের আগে জন্মানো, উচ্চ রক্ত চাপ,
খিঁচুনি, রক্তস্বল্পতা, প্রসবে জটিলতা, এমনকি মা ও সন্তান উভয়েরই মৃত্যু হতে পারে।

ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহে লেখাপড়ার ক্ষতি হয় বা লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। সন্তান হলে
তাদেরকে মা-বাবার দায়িত্ব বহন করতে হয়। এতে মানসিক চাপ বাড়ে আবার আর্থিক সংকটেরও সৃষ্টি হতে
পারে। সুতরাং মেয়েদের ১৮ বছরের আগে এবং ছেলেদের ২১ বছরের আগে যে কোনো বিয়েকে প্রতিরোধ
করতে হবে। নিজের ক্ষেত্রে এরকম প্রস্তাব প্রত্যাখান করতে হবে। অন্যদের ক্ষেত্রেও যে কোনো ভাবে বাধা
দিতে হবে। বাল্যবিবাহের কুফলগুলো অভিভাবকদের বলতে হবে।

 

 

 

যৌতুক

একটি বিয়েতে দুইটি পক্ষ থাকে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষ। এ দুই পক্ষকে উপহার দেওয়ার প্রচলন যুগ যুগ
ধরে চলে আসছে। কিন্তু যখন যে কোনো পক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্যবান সম্পদ, অর্থ দেওয়ার জন্য আর
একপক্ষ দ্বারা বাধ্য হতে হয় তখন সেটা যৌতুক হিসাবে গণ্য হয়। এটাকে অন্য কথায় দাবি বলা যেতে পারে।
আমাদের দেশে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মেয়ে পক্ষের উপর এই দাবি বা যৌতুকের বোঝা চাপানো হয়। বর্তমানে এই
দাবি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। যৌতুক ছাড়া দরিদ্র পরিবারে মেয়েদের বিয়ে কল্পনাই করা যায় না।
যৌতুকের বোঝা চাপানো সেই পরিবারটির উপর এক ধরনের নির্যাতন। বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন,
১৯৮০ এ বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি কনেপক্ষ বা বরপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করলে ১-৫ বছর পর্যন্ত
কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। বাংলাদেশে যৌতুক গ্রহণের প্রধান কারণ হলো
পরিবারটির আর্থিক অসচ্ছলতা ও বেকারত্ব। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে যৌতুকের মাধ্যমে পরিবারটি
সচ্ছলতা খোঁজে।

যৌতুকের ক্ষতিকর দিক— বরপক্ষের দাবি মেটানোর জন্য কনেপক্ষের পরিবারে অনেক রকম সমস্যার সৃষ্টি
হয়। অনেক পরিবারে জমি বিক্রি করা হয়, ব্যাংকের সঞ্চিত টাকা তুলে ফেলতে হয়। অনেক সময় পরিবারের
ছোট সদস্যদের লেখাপড়ার জন্য সঞ্চিত অর্থ যৌতুকের জন্য ব্যয় হয়। সুতরাং যৌতুকের কুফল সম্পর্কে
সমাজের সকলকে সচেতন করতে হবে।

তুমি মেয়ে কিংবা ছেলে যেই হও না কেন যৌতুক প্রথা প্রতিরোধে তোমাদের সোচ্চার হতে হবে। নিজেদের
পরিবারে, আত্মীয়-যজন অথবা প্রতিবেশী পরিবারে যৌতুকের শর্তে যেন কোনো সম্পর্কের বন্ধন তৈরি না হয়।
তার বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

পাঠ ৩ – যৌন নিপীড়ন
-

সাধারণত যৌন বিষয়ক কথাবার্তার মধ্যে একটু গোপনীয়তা, একটু সংকোচ জড়িয়ে থাকে। আমাদের
চারপাশে যৌন নিপীড়নের যেসব করুণ চিত্র ঘটে চলেছে, সেগুলোর পরিণতি হয় খুবই বেদনাদায়ক। এসব
প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করা ও অন্যদেরকে সতর্ক করা খুবই জরুরি। কী করলে যৌন
নিপীড়নের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না তা জানতে হবে। তাই সুস্থ স্বাভাবিক
জীবনের লক্ষ্যে এ পাঠটিকে তোমরা অত্যন্ত জরুরি একটি পাঠ মনে করবে। যৌন নিপীড়ন সম্পর্কে সকলকে
সচেতন করার জন্য এ পাঠটির গুরুত্ব অনেক বেশি।

যৌন বিষয়ক কথা, ইঙ্গিত, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা হলো যৌন হয়রানি। আর অন্যের
দ্বারা শরীরের গোপন অংশে স্পর্শ বা আঘাত যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে। বয়ঃসন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের
প্রতি আকর্ষণ ও যৌন বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক সময় অনেক বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। কয়েকদিনের জন্য রাশেদা বেড়াতে এসেছে আত্মীয়ের বাড়িতে। কিশোরী রাশেদার
আনন্দ আর ধরে না। বিকাল হতে না হতেই পাশের বাড়ির পরিচিত ভাইয়ের সাথে ঘুরতে বের হয় সে। নদীর
পাড়ের বাঁধা রাস্তার পাশ দিয়ে আখের ক্ষেত, নদীর সৌন্দর্য, মাঝি, নৌকা ইত্যাদি উপভোগ করতে করতে
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফেরার পথে কিশোর ছেলেটির মাথায় খারাপ চিন্তা আসে। সে রাশেদার হাতটি ধরে
এবং কাছে আসতে চায়। রাশেদা সজোরে হাত ছাড়িয়ে নেয় এবং দ্রুত হেঁটে নিজেকে রক্ষা করে। ঘটনাটি সে
কাউকে বলতে পারে না। প্রায়ই ঘটনাটি তার মনে কষ্ট দেয়। রাস্তায় যে কোনো কিশোর দেখলে ভয়ে চমকে
উঠে। তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছ যে, এরকম পরিস্থিতিতে তোমরাও পড়তে পার?

যে কোনো বয়সে যৌন হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কৈশোরে এসব ঘটনা
ঘটার সম্ভাবনা অন্য সব বয়সের চেয়ে বেশি থাকে। যারা যৌন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার হয় তাদের
মধ্যে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে-

সব সময় ঐ ঘটনা মনে পড়তে থাকে, মন থেকে আতংক বা ভয় দূর হয় না।

কাউকে বলতে না পারায় মানসিক চাপ পড়ে, ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ আসে না।

অনেক ক্ষেত্রে লজ্জা ও অপমান সহ্য করা নিজের ও পরিবারের জন্য কষ্টদায়ক হয়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কৈশোরে মেয়েদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঝুঁকি বেশি থাকে। পাড়ার বখাটে
দল কিংবা সহপাঠীদের দ্বারা যৌন হয়রানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যৌন নিপীড়ন সমবয়সীরা ছাড়াও

 

 

যে কোনো নিকট আত্মীয়, পরিচিত ব্যক্তি, বয়স্ক যে কোনো সদস্যদের দ্বারা হতে পারে। এসব প্রতিকূল অবস্থা
থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আমাদের যে যে বিষয়ে সতর্ক
থাকতে হবে সেগুলো হলো-

• বাড়িতে কখনোই একা না থাকা।

অন্যকে আকর্ষণ করে এমন পোশাক না পরা।
পরিচিত কিংবা অপরিচিত ব্যক্তি পায়ে হাত দিলে তাকে এড়িয়ে যাওয়া বা পরিত্যাগ করা।

পরিচিত, অপরিচিত কারও সাথে একা বেড়াতে না যাওয়া।
মন্দ স্পর্শ টের পেলে অবশ্যই তা সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবাকে জানানো।

পাড়ার বখাটে দলের হয়রানিতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া না করে কৌশলে উপেক্ষা করা। যেমন- জুতা
খুলে দেখানো, চড় দেখানো, গালাগাল ইত্যাদি না করে বৃদ্ধির সাথে পরিস্থিতি সামলানো।

যৌন নিপীড়নের আর এক ধরনের ভয়ংকর চিত্র তোমাদের জানা দরকার। অনেক সময় শৈশবের
ছেলে-মেয়েরা পরিবার ও সমাজের বয়স্ক সদস্য কর্তৃক যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। পরিবারের খুব কাছের
আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তি শিশুটিকে যে কোনো সময়ে একা পেয়ে এ ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারে।
ব্যক্তিটির সাথে পরিবারের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ট থাকে বলে তার সাথে সন্তান একা বাড়িতে থাকলে মা-বাবার
কোনো রকম দুশ্চিন্তা হয় না। ছেলে শিশুরাও পুরুষ ব্যক্তির দ্বারা শরীরের গোপন অঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হতে
পারে। এ ধরনের নিপীড়নে শিশুরা প্রচণ্ড ভয় পায়। অপরাধী শাসায় বলে তারা বিষয়টি কাউকে বলতে পারে
না। এতে তাদের নানা ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমাজে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে নিপীড়নের শিকার হয়- তাকেই দোষারোপ করা হয়। আমাদের উচিত অপরাধীর মুখোশ
সকলের কাছে খুলে দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার
দায়িত্ব প্রত্যেকটি মা-বাবার এবং আমাদের সকলের।

পাঠ ৪ বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা
 

আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু সাকিব। সে অনেক ভালো। আমি তাকে বিশ্বাস করতে পারি। আমি তাকে আমার
এমন ভিতরের কথা বলতে পারি যা অন্য কেউ জানবে না। সে কাউকে বলে দেবে না এটাও বুঝতে পারি।
আমার অনেক বন্ধু আছে। কিন্তু সে আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা একে অন্যের আবেগ অনুভূতি
বিনিময় করি। কখনো একে অন্যকে দুঃখ দিই না বা আঘাত দিয়ে কথা বলি না। বিপদে পড়লেই একে
অন্যকে সাহায্য করি। সে যখন ভুল পথে যায়, আমি তাকে সতর্ক করি। আবার আমার ক্ষেত্রে সেও এমনটি
করে। আমরা সব বন্ধু মিলে অনেক কথাই বলি কিন্তু এমন কিছু কথা যেটা শুধু তাকেই বলা যায়।

বয়ঃসন্ধিক্ষণের এক কিশোর তার বন্ধু সম্পর্কে এভাবেই বর্ণনা করে। পূর্বের পাঠে সমবয়সী দলের কথা
তোমরা জেনেছ। কিন্তু বন্ধু কারা বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বৈশিষ্ট্য কী এটা তোমরা উপরের উক্তিগুলোর মধ্যে দিয়ে
নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ।

বন্ধুর সংজ্ঞা একেক বয়সে একেক রকম থাকে। ছোটবেলায় খেলার সাথীরাই বন্ধু। স্কুলের প্রথম দিকে
ক্লাসের সকলেই তার বন্ধু। কিন্তু মধ্য শৈশবে কিংবা কৈশোরে বন্ধু তারাই যাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস
থাকে, সহযোগিতা থাকে, অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকে। তারা একে অন্যকে বুঝতে পারে। এ সময়ের বন্ধুত্ব এতই
গভীর থাকে যে তাদের একই রকম পছন্দ থাকে, একই রকম আগ্রহ থাকে, তারা পরস্পরের প্রতি অনুগত
থাকে। যে কোনো বিপদে একজনকে ছেড়ে অন্যজন সরে পড়ে না। বন্ধুত্বের মধ্যে খোলামেলা, স্পষ্ট,
লুকোচুরি না করে কথাবার্তা চলে। একজন অন্যজনের প্রতি গভীর স্নেহ-মমতা থাকে। যে কোনো কিছু তারা
সহজেই বন্ধুকে বলতে পারে। এতে মানসিক চাপ কমে।

এতক্ষণ আমরা জানলাম বন্ধুত্ব আমাদের জীবনে অনেকখানি স্থান দখল করে আছে। এই বন্ধু যখন
ভালোবন্ধু হয়, তখন তা আমাদের বিকাশে সহায়তা করে। ভালো বন্ধু দিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়,
স্কুলে অংশগ্রহণ বাড়ে।

বিভিন্ন অনিয়ম, অসৎ কাজ, বদ অভ্যাস, বন্ধুদের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়। খারাপ বন্ধু আমাদের জীবনে ধ্বংস
ডেকে আনতে পারে। বন্ধু যখন আমাদের জীবনে এত গভীরভাবে প্রভাব ফেলে তখন আমাদের অবশ্যই বন্ধু
নির্বাচনে সতর্ক হওয়া দরকার।

কাজ তোমার সহপাঠীর মধ্যে থেকে দুজন বন্ধুর নাম উল্লেখ কর। তারা কেন তোমার বন্ধু লেখ।

কৈশোরে বন্ধু আমাদের কীভাবে সাহায্য করে?

বন্ধুত্ব দেয়-

সাহচর্য, কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। বন্ধুত্বের মাধ্যমে
প্রয়োজনীয় কতু আদান-প্রদান করা যায়, একে
অন্যের দুর্বল দিকের প্রতি সচেতন হওয়া যায়।
অন্যদের তুলনায় আমি কেমন সেটা বন্ধুর মাধ্যমে
বোঝা যায়। আর আমি ঠিক কাজটি করছি কিনা- এ
ধারণাও বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া যায়।

ভালো ও খারাপ ক্যু চেনার উপায়

ভালো বন্ধু

• ভালো বন্ধু পড়াশোনায় মনোযোগী

• সত্য কথা বলে

• স্কুল ও সমাজের নিয়ম মেনে চলে

• সকলের সাথে ভালো আচরণ করে

• গঠনমূলক কাজ করে

• ভালো কাজে উৎসাহী থাকে

• যৌন পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত কথাবার্তা বলে

• ধূমপান ও মাদক প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকে

খারাপ বন্ধু

• পড়াশোনায় অমনোযোগী

• মিথ্যা বলতে সংকোচ বোধ করে না

• স্কুল ও সমাজের নিয়ম মানে না

• ঝগড়া, মারামারি করে

• সমস্যা তৈরি করে

• অসৎ কাজে উৎসাহী থাকে

• অশ্লীল আলোচনা করে

• ধূমপান করে, অন্যকে ধূমপানে প্ররোচিত করে

অনেক সময় বিপরীত লিঙ্গের সাথে বন্ধুত্ব হয়। এক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে- যেন সম্পর্কের একটি
সীমারেখা থাকে। তোমরা পূর্বের পাঠে জেনেছ যে, বয়ঃসন্ধিক্ষণে ছেলে ও মেয়েদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ
বাড়ে। সুতরাং প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেলামেশা মুগ্ধতা আনতে পারে, যা এ বয়সের জন্য ক্ষতিকর।

কাজ খারাপ ও ভালো বন্ধু চেনার উপায়গুলো কী?

পাঠ ৫- প্রচার মাধ্যম

প্রচার মাধ্যম বলতে রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ, কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন প্রচারমাধ্যম
ইত্যাদিকে বুঝি। এ সকল প্রচার মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার আমাদের জ্ঞান বিকাশকে বাড়িয়ে দেয়। আমরা প্রচুর
তথ্য জানতে পারি। যে কোনো বিষয়ে সঠিক ধারণা পাই, অল্প সময়ে খবর পাঠাতে পারি, যোগাযোগ সহজ হয়।

বিরতিহীনভাবে টেলিভিশন দেখা ক্ষতিকর। টিভিতে অধিক সময় ব্যয় করলে লেখাপড়া, খেলাধুলা বা অন্যান্য
কাজের সময় কমে আসে। এ ছাড়াও তারা প্রাকৃতিক আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত হয়। তারা এমন অনেক
অনুপোযোগী অনুষ্ঠান দেখে- যার কারণে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতে উৎসাহিত হতে পারে।
অনেকক্ষণ টিভি দেখলে শারীরিকভাবেও ক্লান্তি আসে।

টিভির এমন অনেক অনুষ্ঠান আছে যা দেখলে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। যেমন পশুপাখি সম্পর্কীয় অনুষ্ঠান। এ
ধরনের অনুষ্ঠান তাদের জীবন যাপন সম্পর্কে ধারণা দেয়। বইপত্র পড়ে যা শেখা হয়েছে সেটারই যেন ব্যবহারিক
জ্ঞান হয়। আবার টিভির কিছু চ্যানেলে এমন অনুষ্ঠানও দেখান হয়, যা আমাদের ক্ষতি করে। যেমন- সহিংসতা,
ছিনতাই, মাদকদ্রব্য সেবন ইত্যাদি। এগুলো দেখার ফলে অনুরূপ স্বভাব আমাদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এ
কারণে টিভি দেখার উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। দেখার জন্য টিভির কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান নির্বাচন করতে
হবে। যে অনুষ্ঠানগুলো শিক্ষামূলক বা সামাজিক কিংবা শিশু-কিশোরদের বয়সোপযোগী- সেসব অনুষ্ঠান আমাদের
বুদ্ধি ও সামাজিক দক্ষতা বাড়ায়।

-সকলে একসাথে টিভির কোনো
অনুষ্ঠান দেখলে বেশি শেখা যায়।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং
আলাপ আলোচনায় অনুষ্ঠানের
বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ।

-পড়ার ঘরে টিভি না রাখা বা
টিভির ঘরে পড়াশোনা করা উচিত
নয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়।

- ছাত্রজীবনে খুব অল্প সময় টিভি
দেখার জন্য ব্যয় করলে পড়াশোনার
ক্ষতি কম হয়।

বড়দের সাথে টিভি দেখলে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে অনেক বেশি জানা যায়

প্রচার মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কম্পিউটার। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, আবহাওয়া, পরিবেশ
রক্ষা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক সুবিধা দেয়। আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করি
তাহলে মূল্যবান ও উপকারী এই যন্ত্রটিও আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কম্পিউটারে ওয়েব সাইট ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা প্রচুর তথ্য পাই। যখন যা জানতে চাওয়া হয় অল্প
সময়েই তা সংগ্রহ করতে পারি। লেখাপড়ার কাজে সর্বশেষ তথ্যগুলো আমাদের জানাকে সমৃদ্ধ করে।
এছাড়াও অত্যন্ত কম সময়ে ও সহজভাবে আমরা কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

অনেক সময় কম্পিউটারকে আমরা খেলার সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার করি। যারা অনেক বেশি গেইম খেলে তারা
যখন গেইম খেলে না, তখনও ঐ গেইম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে। তারা বুঝতে পারে যে তারা বেশি সময় ধরে
খেলছে কিন্তু তারা নেশাগ্রস্তের মতো এটা বন্ধ করতে পারে না। এসব ছেলে-মেয়ের মধ্যে নানা ধরনের
স্বাস্থ্য সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

.
-গেইম খেলায় শরীরের ওজন অতিরিক্ত বাড়তে পারে।

-দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার জন্য চোখের সমস্যা হতে পারে।

-দীর্ঘ সময় বসে থাকার জন্য ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে।

-দৈনন্দিন জীবনের জ্ঞান কম হয়।

-বাইরে খেলাধুলার সময় ও আগ্রহ কমে আসে।

-সকলের সাথে বেড়ানো, দেখা-সাক্ষাৎ কম হয়।

-শিক্ষা উপকরণ হিসাবে কম্পিউটারের ব্য

ইন্টারনেটে এমন অনেক সাইট আছে, যেগুলোতে প্রবেশ প্রাপ্ত বয়সের আগে নিষিদ্ধ। অনেক সময়ে
কৈশোরের ছেলেমেয়েরা কৌতূহলের কারণে ঐসব নিষিদ্ধ সাইটে প্রবেশ করে। এতে তাদের নৈতিক
অবনতির সম্ভাবনা থাকে।

খুব দ্রুত যে কোনো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বড় একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকের
মাধ্যমে বন্ধুত্ব তৈরি করা এবং যোগাযোগ করা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যেসব ছেলেমেয়েরা অনলাইন
যোগাযোগে বেশি সময় ব্যয় করে, তাদের সাথে মা-বাবার দ্বন্দ্ব, বিরোধ বেশি হয়। কম্পিউটারকে শিক্ষা
সহায়ক উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করলে আমরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারব।

অনুশীলনী

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

১. কৌতূহলের বয়স কোনটি?

ক. একবছর বয়স

খ. কৈশোর কা

গ. যৌবন কাল

২. মাদকদ্রব্য গ্রহণে সামাজিক কোন সমস্যা হয়?

ঘ. বৃদ্ধ কাল

ক. কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়

গ. পারিবারিক আর্থিক সংকট হয়

খ. শেখার ক্ষমতা হ্রাস পায়

ঘ. সহজে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও

জাভেদ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলগঠন, বন্ধুপ্রীতি এগুলোর প্রতি ঝুঁকে পড়েছিল এবং ঘরে দেরি করে।
ফিরত। ঘরে দেরি করে ফেরার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে মেজাজ করত। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে ধর্মের শিক্ষকের
কাছে মাদকাসক্তির মন্দ দিক, ভালো বন্ধু, মন্দ বন্ধু, পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে জেনেছে। সে আরও
জেনেছে এ বয়সে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেলামেশার ফলে নিজের ক্ষতি হতে পারে। এখন সে খুব সতর্কতার
সাথে চলাফেরা করে।

 

 

বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করা

৩. জাভেদের মতো কিশোররা মাদকাসক্তির কুফল কাদের মাঝে ছড়িয়ে দেবে?

ক. নিজ শ্রেণি ও সকল শ্রেণিতে

খ. ঘরে ঘরে ও আত্মীয় সজনদের মাঝে

গ. পাড়ায় ও ভাইবোনদের মাঝে

ঘ. পাড়া, মহল্লা ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে

ঘ. i, ii ও iii

৪. ধর্মীয় শিক্ষকের শিক্ষা জাভেদকে সচেতন করবে-

খারাপ দলে না মেশার

ii. স্বাস্থ্যগত পরিণাম সম্পর্কে

iii. ছেলেমেয়েদের বন্ধুত্বে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন

১. ১০ম শ্রেণির কামাল মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান। বাবা-মা দুজনেই চাকরি নিয়ে খুব ব্যস্ত। বন্ধু
এজাজের সঙ্গে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। ইদানীং সে ঘরে দেরি করে ফেরে, খেতে চায় না, পড়াশোনায়
মনযোগ কম এবং শরীর সব সময়ই খারাপ থাকে। কারণে অকারণে এজাজের কাছে চলে যায়।
বাবা-মা কিছু বলতে গেলে মিথ্যা বলতে সংকোচ বোধ করে না। কামালের এই আচরণ বাবা মা-কে
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে।

ক. প্রতিকূল অবস্থা কী?

খ. মাদকাসক্তি বলতে কী বোঝায়?

গ. এজাজের বন্ধুত্ব কামালের পড়াশোনাকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ভালো বন্ধু নির্বাচনের মাধ্যমে কামালের বর্তমান অবস্থা উত্তরণ সম্ভব”- উক্তিটির সাথে তুমি
কি একমত? যুক্তি দাও ।

জুলেখা সপ্তম শ্রেণিতে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করে। ওর দাদা-দাদি ওর বিয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
ছেলেপক্ষ অনেক কিছুই দাবি করছে। কিন্তু টিভিতে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলো জানার পর
জুলেখার বাবা এখন জুলেখার বিয়ে না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।

ক. জাতিসংঘ সনদে কত বছর বয়সকে শিশু বলা হয়েছে?

খ. কম্পিউটারে আমরা সহজে তথ্য পাই কেন?

গ. দাদা-দাদির উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের কোন অধিকার লঙ্ঘিত
হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. জুলেখার বাবার সিদ্ধান্ত জুলেখাকে দৈহিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে-তুমি কি একমত? যুক্তি দেখাও।

Content added By